সত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি pdf | Satyanarayan Puja Vidhi in Bengali

সত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি pdf

সত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি pdf | Satyanarayan Puja Vidhi in Bengali Pdf, সত্যনারায়ণ পূজার মন্ত্র পাঠ, সত্যনারায়ণ পূজার উপকরণ, সত্যনারায়ণ পূজার ফর্দ, সত্যনারায়ণ পূজার পাঁচালী, সত্যনারায়ণ পূজার নিয়ম, সত্যনারায়ণ পূজা কি কি লাগে, সত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি পিডিএফ, সত্যনারায়ণ পূজা বিধি, সত্যনারায়ণ পূজা 2022.

PDF Nameসত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি pdf
No. of Pages3
PDF Size0.381 MB
LanguageBengali
TagsSatyanarayan Puja
PDF CategoryReligion & Spirituality
Published/UpdatedMarch 5, 2022
Source / Creditsbanglapdf.in
Uploaded ByMyPdf

DOWNLOAD সত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি pdf

আপনি কি সত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি pdf খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন। এখানে আপনি সত্যনারায়ণ পূজার উপকরণ, সত্যনারায়ণ পূজার ফর্দ, সত্যনারায়ণ পূজার পাঁচালী, সত্যনারায়ণ পূজার নিয়ম, সত্যনারায়ণ পূজা কি কি লাগে, সত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি পিডিএফ, সত্যনারায়ণ পূজা বিধি সম্পর্কে সমস্ত কিছু তথ্য এক ক্লিকেই পেয়ে যাবেন।

DOWNLOAD: সত্যনারায়ণ পূজা পাঁচালী pdf

সত্যনারায়ণ পূজার নিয়ম

এই ব্রতের কোন তিথি নক্ষত্রের নিষেধ নেই। যে কোন ব্যক্তি প্রদোষকালে এই ব্রত করতে পারেন। নারী-পুরুষ, কুমার-কুমারী নির্বিশেষে এই ব্রত করতে পারে। পূর্ণিমা বা সংক্রান্তি এই ব্রতের সঠিক দিন। উপবাস থেকে এই ব্রত করতে হয়।

সত্যনারায়ণ পূজার উপকরণ / সত্যনারায়ণ পূজার ফর্দ

ঘট, আমডালি, ডাব, কলা, সিঁদুর, গামছা, গঙ্গামাটি, ধান, বসার জন্য পিঁড়ে, বস্ত্র, তীরকাঠি, পান, সন্দেশ বা বাতাস, দুধ, ফুলের মালা, তিল, হরতকি, ফুল-দূর্বা ঘাস, বেলপাতা, তুলসীপাতা, ধুপ বা ধূপকাঠি, দধি, গব্যঘৃত, শিন্নির সামগ্রী, পাঁচ প্রকার ফল, ইত্যাদি।

সত্যনারায়ণ পূজার ব্রত কথা

প্রথমে বন্দিনু আমি দেব গজানন।
সিদ্ধা প্রদায়ক আর বিঘ্ন বিনাশন ।।
হরগৌরী বন্দিনু বিরিঞ্চি নারায়ণ।
ব্যাসদেব বাল্মীকি আদি বন্দি মুনিগন ।।
প্রনমিহ সত্যপীর নিয়ৎ হাসিল।
যাঁহার কৃপায় হয় ভুবন অখিল ।।
সরস্বতী বন্দি শিরা সারদা ভবানী।
সত্যপীর-উপাখ্যান অপূর্ব কাহিনী ।।
শুন হে সকল লোক হয়ে এক চিত্ত।
যার যে পাইবে বর মনের বঞ্চিত ।।
এক গরীব ব্রাহ্মণ ছিল মথুরায়।
চিরকাল দুঃখে থাকে সুখ নাহি পায় ।।
একদা সে দ্বিজবর ভ্রমিয়া নগর।
কিছু না পাইয়া ভিক্ষা হইল কাতর ।।
বৃক্ষতলে বসে বিপ্র বিষাদিত মনে।
কাঁদিতে লাগিল দ্বিজ ভিক্ষার কারণে ।।
কাঁদিতে কাঁদিতে দ্বিজ হইল অস্থির।
দেখিয়া দয়ার্দ্রে বড় হইল সত্যপীর ।।
দয়াময় প্রভু দেব সত্যনারায়ণ।
ফকির বেশেতে তারে দিল দর্শন ।।
বিপ্রে কহে নারায়ন শুন মহাশয়।
কি কারণে কাঁদ তুমি বসিয়া হেথায় ।।
দ্বিজ বলে কি হইবে বলিলে তোমায়।
ফকির বলেন বিপ্র ক্ষতি কিবা তায় ।।
বিপ্র বলে মাগিয়া ভিক্ষা আমি যাবৎকাল খাই।
আজ না পাইনু ভিক্ষা মিছামিছি যাই ।।
ফকির বলিল দ্বিজ যাও নিজ ঘরে।
আমাদের করহ পূজা দুঃখ যাবে দূরে ।।
ব্রাহ্মণ বলিল নিত্য পুজি নারায়ন।
তাহা ভিন্ন না করিব ম্লেচ্ছ আচরণ ।।
হাসিয়া ফকির বলে শুনে দ্বিজবর।
পুরাণ ও কোরানে কিছু নাহি মতান্তর ।।
রাম ও রহিমে জেনো নাহি ভেদাভেদ।
ত্রিজগতে এই দুই জানিবে আভেদ ।।
বলি তাহা নিজমূর্তি ধরে জগন্নাথ।
শঙ্খ চক্র গদা পদ্মধারী চটি হাত ।।
দেখি তাহা বিপ্রবর পড়িল ধরণী।
করিল প্রচুর স্তব গদগদ বাণী ।।
সহসা আবার পুনঃ ফকির হইল।
দেখি তাহা দ্বিজবর বিস্মিত হইল ।।
ব্রাহ্মণ বলেন প্রভু পূজিব তোমায়।
পূজার পদ্ধতি কিবা বলহে আমায় ।।
ফকির বলিল তবে শুন দ্বিজবর।
পূজার পদ্ধতি তোমায় বলি অতঃপর ।।
বলিতে লাগিল প্রভু ব্রাহ্মণের তরে।
গম কিংবা ধন্যাদির আটা সওয়া সেরে।
সওয়া ছড়া কেলে করিবেক আয়োজন ।।
সওয়া গন্ডা গুবাক আর পান সওয়া পণ।
সওয়া সের চিনি আর সওয়া ক্ষীর।
তাহাতেই সন্তুষ্ট হই আমি সত্যপীর ।।
চিনি আর ক্ষীর দিতে যার নাই শক্তি।
দুগ্দ্ধ আর গুড় দিয়ে করিবেক ভক্তি ।।
বসিবে সকল ভক্ত করি একমন।
একমনে ভক্তিভরে করিবে অর্চন ।।
পূজা অন্তে ব্রতকথা শুনবে যতনে।
বিশুব্ধ হইয়া পূজা শাস্ত্রের বিধানে ।।

সত্যপীর বলি সবে মাথে দিবে হাত।
নারায়ন বলিয়া করিবে প্রণিপাত ।।
প্রসাদ লইবে পরে শাস্ত্রের বিধান।
সব কথা বলি হরি হৈল অন্তর্ধান।।
ভক্তিভাবে দ্বিজ হয়ে অতি হরষিত।
কিছু ভিক্ষা করি গৃহে হলো উপস্থিত।
ব্রাহ্মণী শুনিয়া সব হয়ে আনন্দিত।
পূজা হেতু আয়োজন করে বিধিমত ।।
ভক্তিভরে পূজে দ্বিজ নারায়ন পদ।
প্রভুর কৃপায় দ্বিজ লভিল সম্পদ ।।
কাঠুরিয়াগণ সবে বিস্ময় মানিল।
ভক্তিভাবে ব্রাহ্মণেরে জিজ্ঞাসা করিল ।।
ব্রাহ্মণ তাদের বলে বিধান সমস্ত।
কাঠুরিয়া পুঁজিবারে হৈল বড় ব্যস্ত ।।
সিন্নি যে করিল তারা বিধি সহকারে।
দুঃখ দূর হিল আনন্দ ঘরে ঘরে ।।
তাপর সদানন্দ সাধু একজন।
কাঠুরের সম্পদ দেখিয়া হৃষ্টমন ।।
জিজ্ঞাসিয়া সব কথা জানিতে পারিল।
শুনিয়া সাধুর মনে ভক্ত উপজিলা ।।
সাধু বলে অপ্রতুল নাহি অন্য্ ধনে।
এক কন্যা হেতু সদা দুঃখ হয় মনে ।।
যদ্যপি আমার এক জন্মে তনয়া।
সত্যদেব পূজা করি আনন্দিত হৈয়া ।।
এত বলি গেল সাধু অঙ্গীকার করি।
যথাকালে জন্মে কন্যা পরমা সুন্দরী ।।
সত্যনারায়ন পূজা যে সাধু ভুলিল।
যথাকালে কন্যাটির বিবাহ যে দিল ।।
অতঃপর সাজাইল সপ্ত মধুকর।
জামাতা সহিত সাধু চলিল সত্বর ।।
দক্ষিণ পাটনে রাজা নাম কলানিধি।
সেইরাজ্যে সদাগরে মিলাইল বিধি।।
রাজ্য সম্ভাষিয়া থাকে তরণী চাপিয়া।
প্রমাদ ঘটিল তার সিন্নি নাহি দিয়া ।।
রাজার ভান্ডার মাঝে ধনাদি যা ছিল।
রাত্রিতে আসিয়া সাধুর তরী পূর্ন হল।
ছল পেয়ে রাজা তার সব লুঠ করে ।
শশুর জামাতা লয়ে রাখে কারাগারে।
রাজাদেশে কোটাল তারে কাটিবারে যায়।
পাত্র অনুরোধে তারা প্রাণ ফিরে পায়। ।।
বন্দী থাকে কারাগারে শশুর জামাই।
কি কহিব উভয়ের দুঃখ শিমা নাই ।।
এখানে সাধুর পত্নী আর তার সুতা।
পতির বিলম্ব দেখি শোকাহত।।
সঙ্গতি বিনষ্ট হলো পড়িল দুঃখেতে।
দাসিত্ব করিয়া খায় পরের গৃহেতে ।।
একদিন সাধুকন্যা বেড়াইতে গিয়া।
আনন্দিত দ্বিজ গৃহে সিন্নি দেখিয়া ।।
সব শুনি কন্যা তখন মানস করিল।
পিতা আর পতি আসে কামনা করিল ।।
শশুর জামাতা যেথা বন্দী কারাগৃহে।
নারায়ণ স্বপ্ন দেন সেই নৃপবরে ।।
শুন ওহে মহারাজ আমার বচন।
কলিকালে পূজ্য আমি সত্যনারায়ণ ।।
সদাগর দুইজন শশুর জামাই।
বিনাদোষে বন্দী আছে তোমারে জানাই ।।
প্রভাত হইলে তুমি দুই সদাগরে।
দশগুন ধন তুমি দানিবে তাদের ।।
এই বলি ধরিলেন আপন মূর্তি।
স্বপ্ন দেখি চমকিয়া উঠিল নৃপতি ।।
মুক্ত করি সদাগরে বহু ধন দিল।
তরী পূর্ন করি রাজা বিদায় করিল ।।
বুঝিতে সাধুর মন সত্যনারায়নে।
ফকিরের বেশে পথে দিল দর্শন ।।
ফকির বলেন শুন ওহে সদাগর।
ফকিরের কিছু ভিক্ষা দিয়ে – যায় ঘর ।।
শুনি সদাগর তারে অবজ্ঞা করিল।
তরীর সকল দ্রব্য তুষাঙ্গার হইল ।।
দেখি তাহা সদাগর করে হায় হায়।
ধরণী লোটায়ে ধরে ফকির পায় ।।
অবশেষে ফকির তাহারে কৃপা কৈল ।
ধনৈশ্বর্যে তরী সব পূর্ন হলো।
উত্তরিল ঘাটে সাধু হৈল কোলাহল।
সাধুর রমনী কন্যা শুনি কুতূহল ।।
তরীর সামগ্রী যত ভাণ্ডারেতে লৈয়া।
সিন্নি করিল সাধু আনন্দিত হৈয়া ।।
সকলে প্রসাদ নিল জোর করি পানি।
প্রসাদ ভুমেতে ফেলে সাধুর নন্দিনী ।।
তাহা দেখি সত্যদেব কুপিত হইল।
জামাতা সহিত তরী জলেতে ডুবাল ।।
হাহাকার করে সবে পড়িয়া ভূমিতে।
শুনি সাধু কন্যা যায় ডুবিয়া মরিতে ।।
হেনকালে দৈববাণী হইল আচম্বিত।
সিন্নি ফেলিয়া কন্যা কৈল বিপরীত ।।
শুনি কন্যা সেই সিন্নি চাটিয়া খাইল।
সাধুর জামাতা তরী ভাসিয়া উঠিল।
তরীর সকল দ্রব্য ভাণ্ডারেতে আনি।
করিলে সওয়া সের সোনার সিন্নি।
স্বপ্নে কহিলেন দেব শুন সাধু তুমি।
সোনা হইতে আটায় সন্তোষ হই আমি।।
স্বপ্ন দেখি সদাগর পরম হরিষে।
আটার সিন্নি করি পূজে সবিশেষ ।।
ক্রমেতে প্রচার হলো সবার আলয়।
ভক্তিভরে পুজিলেই আশা পূর্ন হয় ।।
একমনে শুনে কিংবা পূজে নারায়ণ।
সর্বদুঃখ দূরে যায় শাস্ত্রের বচন ।।
সিন্নি মানিয়ে যে না হয়ে দুই মনা।
কদাপি সিদ্ধির তাহার কামনা ।।


অথ সত্যনারায়ণ ব্রতকথা সমাপ্ত।

সুতরাং, আর অপেক্ষা না করে নিজের দেওয়া লিংক থেকে সত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি PDF টি Download করুন।

DOWNLOAD: শ্রী শ্রী লক্ষ্মী দেবীর পাঁচালী PDF


You can download the সত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি PDF the link given below:


Report This: If you have any problem with this pdf such as broken link/copyright material please feel free to contact us.